অর্থ সম্পদ ব্যয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যা যা নিষিদ্ধ
মানুষ
যেসব অর্থ অর্জন এবং উপার্জন করে, তা সাধারণত নিম্নরূপ খাতসমূহে ব্যয়-ব্যবহার করে থাকে :
১. নিজের ও পরিবার পরিজনের জন্যে ব্যয় করে।
২. উৎপাদন ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করে।
৩. যাকাত প্রদান করে।
৪. ট্যাক্স, খাজনা ও বিভিন্ন প্রকার কর প্রদান করে।
৫. বিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব কর্তব্য (Obligations) ও অধিকার (Rights) আদায়ে প্রদান করে।
৬. দান করে।
৭. সঞ্চিত ও পূঞ্জিভূত করে।
৮. অপচয় ও অপব্যয় (overuse & misuse) করে।
১. নিজের ও পরিবার পরিজনের জন্যে ব্যয় করে।
২. উৎপাদন ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করে।
৩. যাকাত প্রদান করে।
৪. ট্যাক্স, খাজনা ও বিভিন্ন প্রকার কর প্রদান করে।
৫. বিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব কর্তব্য (Obligations) ও অধিকার (Rights) আদায়ে প্রদান করে।
৬. দান করে।
৭. সঞ্চিত ও পূঞ্জিভূত করে।
৮. অপচয় ও অপব্যয় (overuse & misuse) করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে অর্থ ব্যয় একদিকে যেমন বিরাট নেকি ও পুণ্যের কাজ। অপরদিকে তা বিরাট পাপও অকল্যাণের হাতিয়ার। ইসলাম সব ধরণের কল্যাণের ব্যয়কে উৎসাহিত করে। কিন্তু সব ধরনের অকল্যাণকর কাজে ব্যয় করাকে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ঘোষণা করে। ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্মোক্ত খাত ও প্রক্রিয়ায় ব্যয় বিনিয়োগ করা অবৈধ ও নিষিদ্ধ :
০১. সুদী কারবারে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২ : ২৭৫)
০২. জুয়া খেলায় বিনিয়োগে নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ৫ : ৯০)
০৩. ভাগ্য গণনায় ব্যয় নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ৫ : ৯০)
০৪. ব্যভিচারের কাজে ব্যয় নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২৪ : ২,৩৩)
০৫. সর্বপ্রকার অশ্লীলতা প্রসারকারী কাজ কারবারে ব্যয় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২৪ : ১৯)
০৬. সর্বপ্রকার ধোকা প্রতারণার কাজে ব্যয় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। (হাদিস : যে প্রতারণা করে, সে আমার লোক নয়)।
০৭. ঘুষ প্রদান নিষিদ্ধ। (আল কুরআন ২ :১৮৮)
০৮. মূর্তি, প্রতিকৃতি ও ভাষ্কর্য তৈরি ও ক্রয়ে ব্যয় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ।
০৯. সর্বপ্রকার হারাম জিনিস ক্রয়ে ব্যয় করা নিষিদ্ধ। বিনিয়োগও নিষিদ্ধ।
১০. ক্ষতিকর জ্ঞানার্জনে ও প্রশিক্ষণে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।
১১. ভেজাল ও নকল ব্যবসায় বিনিয়োগ নিষিদ্ধ।
১২. অবৈধ উদ্দেশ্য হাসিলের নিয়্যতে ধার-করজ-ঋণ প্রদান নিষিদ্ধ।
১৩. খোঁটা দেয়ার উদ্দেশ্যে বা জশ, খ্যাতি ও সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যে দান করা নিষিদ্ধ।
১৪. প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় বা দান না করে কৃপণতা করা নিষিদ্ধ।
১৫. সর্বস্ব দান করে ফেলা বা ব্যয় করে ফেলা নিষিদ্ধ।
১৬. অর্থ-সামগ্রী অপচয় (overuse) করা নিষিদ্ধ।
১৭. অর্থ সম্পদ অপব্যয় (misuse) করা নিষিদ্ধ। অর্থাৎ নিষ্প্রয়োজনীয় ও নিষিদ্ধ খাতে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।
১৮. কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে অর্থ ব্যয় করা নিষিদ্ধ।
১৯. ভালো কাজের বিরোধিতা বা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।
২০. ইসলামের বিরোধিতা করা এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কাজে ব্যয় করা নিষিদ্ধ।
২১. যে কোনো ক্ষতিকর, অকল্যাণকর এবং সামাজিক ও সামষ্টিক অনিষ্টকর কাজে ব্যয় করা নিষিদ্ধ
Source:
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা আবদুস শহীদ নাসিম, © author প্রকাশক: বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটি।